খা’লাস চে’য়ে মি’ন্নির আ’বেদন, যে সি’দ্ধা’ন্ত নি’লো হা’ইকো’র্ট…বি’স্তা’রিত ভেতরে

বহুল আ’লোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হ”ত্যা মা’মলায় খালাস চেয়ে মৃ”ত্যুদ’ণ্ডপ্রা’প্ত আ’সা’মি নি’হ’তের স্ত্রী’ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাই’কোর্ট। একই স’ঙ্গে রায়ে জ’রিমা’না করে দেওয়া অ’র্থদ’ণ্ড স্থগিত করেছেন আ’দালত।

বুধবার (৪ নভেম্বর) হাই’কোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভা’র্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আ’দালতে আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জেড আই খান পান্না। তার স’ঙ্গে ছিলেন আ’ই’নজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইস’লাম।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।আদেশের বি’ষয়টি সাংবাদিকদের জানান মিন্নির আ’ই’নজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইস’লাম। তিনি বলেন, মিন্নির পক্ষে খালাস চেয়ে আজ আপিল কোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছিল।

আ’দালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন এবং বিচারিক আ’দালতের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা জ’রিমা’না করা অ’র্থদ’ণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। অ’পর এক আ’সা’মি মোহাইমেন ইস’লাম সিফাতের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে রিফাত হ”ত্যার রায়ে

দ’ণ্ড পাওয়া তিন আ’সা’মির বি’ষয়েও গত ১৩ অক্টোবর একই আদেশ দেন হাই’কোর্টের এই বেঞ্চ। ওই তিন আ’সামি হলেন আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মো. হাসান এবং মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকট’ক হৃদয়। মৃ”ত্যুদ’ণ্ডপ্রা’প্ত অ’পর আ’সামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর আপিল করার ত’থ্য জানা গেলেও কোনো আদেশ হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

অনুযায়ী, এ মাম’লার পেপারবুক তৈরি হবে। পেপারবুক তৈরি হলে প্রধান বিচারপতি মা’মলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করেন। তখন এ মা’মলার আপিল শুনানি শুরু হবে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আ’লোচিত রিফাত শরীফ হ”ত্যা মা’মলার প্রা’প্তব’য়স্ক ১০ আ’সা’মির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জে’লা ও দায়রা জজ বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আ’দালত। রায়ে নি”হ’ত রিফাতের স্ত্রী’ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জন অ’ভিযু’ক্তকে ফাঁ”সির আদেশ দেন আ’দালত।

এছাড়া বেকসুর খালাস দেওয়া হয় এ মা’মলার অ’পর চার আ’সা’মিকে। বর্তমানে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কা’রাগা’রে রাখা হয়েছে মিন্নিকে। ”ত্যুদ’ণ্ডপ্রা’প্ত আ’সা’মিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইস’লাম সিফাত,

রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকট’ক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পেয়েছেন-মো. মু’সা (প’লাতক), রাফিউল ইস’লাম রাব্বি, মো. সাগর ও কাম’রুল ইস’লাম সাইমুন। গত ৪ অক্টোবর ছয় আ’সা’মির মৃ”ত্যুদ’ণ্ডাদেশ অ’নুমো’দনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাই’কোর্টে পৌঁছায়। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আ’সা’মিরা আপিল করেন।

আ’ই’নজীবীরা জানান, ফৌজ’দা’রি মা’মলায় বিচারিক আ’দালত যখন আ’সা’মিদের মৃ”ত্যুদ’ণ্ড দেন তখন ওই দ’ণ্ড কার্যকরের জন্য হাই’কোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আ’দালত ফৌ’জ’দা’রি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মা’মলার সব নথি হাই’কোর্টে পাঠিয়ে দেন। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাই’কোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মা’মলার পেপারবুক প্রস্তুত করে।

পেপারবুক প্রস্তুত হলে মা’মলা’টি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। তবে কোনো কোনো মা’মলার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি করা হয়। প্রস’ঙ্গত, গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা স’রকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে রিফাত শরীফকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম করে সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন ব’ন্ড, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী এবং তাদের সহযোগীরা।

ঘ’টনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রিফাতের স্ত্রী’ মিন্নি। গু’রু’তর অবস্থায় রিফাতকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতা’লে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মা’রা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বা’দী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন ব’ন্ডকে প্রধান আ’সা’মি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অ’জ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বি’রু’দ্ধে বরগুনা থা’নায় হ”ত্যা মা’মলা করেন। এ মা’মলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নি’হ’ত রিফাতের বাবা। পরে ২ জুলাই ভোরে জে’লা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকা’টা ফেরিঘাট এলাকায় পু’লিশের স’ঙ্গে ‘ব’ন্দু’কযু”দ্ধে’ প্রধান আ’সা’মি নয়ন ব’ন্ড (২৫) নি’হ’ত হন। হ”ত্যাকা’ণ্ডের ২০

দিন পর গত বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পু’লিশ লাইনে নিয়ে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জি’জ্ঞাসাবাদ শেষে এ হ”ত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রে’ফতার দেখায় পু’লিশ। পরে একই বছরের ২৯ আগস্ট হাই’কোর্ট মিন্নিকে জা’মি’ন দেন। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অ’ভিযু’ক্ত করে প্রা’প্ত ও অ’প্রা’প্তব’য়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আ’দালতে অ’ভি’যো’গপত্র জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রা’প্তব’য়স্ক ১০ জন এবং

অ’প্রা’প্তব’য়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। গত ১ জানুয়ারি প্রা’প্তব’য়স্ক ১০ আ’সামির বি’রু’দ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যু’ক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়। বিচার শেষে গত ২৭ অক্টোবর অ’প্রা’প্তব’য়স্ক ১৪ জনের বি’ষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জে’লা না’রী ও শি’শু আ’দালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কা’রাদ’ণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কা’রাদ’ণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আ’দালত।